ভোট দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ভোট দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

রোববার সকাল ৮ টায় রাজধানীর সিটি কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সকাল আটটার আগেই ভোটকেন্দ্রে পৌঁছান সময় শুরুর কিছুক্ষণ পরে তিনি ভোটকেন্দ্রে ভোট দেন। ভোট দেওয়ার পর তিনি গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেন।

ভোট দিলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী প্রথমে নির্বাচন সম্পর্কে বলেন, শেষ পর্যন্ত আমরা নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে করতে পেরেছি। সেজন্য আমি আমার দেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। কারণ অনেক বাধা ছিল, অনেক বিপত্তি ছিল. সাধারণ মানুষ নির্বাচনের গুরুত্ব বুঝতে পেরেছে। তারা বুঝতে পেরেছে ভোটের গুরুত্ব। তারা জানে যে এই নির্বাচনটা কতটা জরুরী। জনগণ তার ইচ্ছেমতো ভোট দেবে। আমরা নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছি।

সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া নাশকতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি জামাত একজোট হয়ে জ্বালাও পোড়াও আর মতো ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে। গতকালকে এবং আগেও আমরা সবাই দেখেছি ট্রেনে আগুন দেওয়া থেকে শুরু করে গাড়িতে আগুন দেওয়া, সাধারণ মানুষকে বাধা দেওয়া, বোমা হামলা, ককটেল হামলার মতো জঘন্য কাজগুলো তারা করেছে। আমি এটাই বোলাতে চাই তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। দেশের মানুষের কল্যাণও চায় না।

এর আগে ২০০৮,২০১৪ ও ২০১৮ সালে পরপর তিনবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে।

শেখ হাসিনা আজ ভোট দেওয়ার পর বলেন ২০০৯ সাল থেকে গণতান্ত্রিক ধারা বজায় আছে বলেই দেশের এই উন্নতি হয়েছে। আমাদের সামনে আরো কাজ আছে আমরা সেগুলো সম্পন্ন করতে চাই। আমি আশা করি নৌকার জয় হবে। এবং আমরা জনগণের সর্মথনে আবারো সরকার গঠন করতে পারব। বাংলাদেশ যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে তা বাস্তবায়ন করে পারব। সকলের উপর আমার বিস্বাস আছে।

ভোটকেন্দ্রে এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ, প্রধানমন্ত্রীর বোন শেখ রেহানা ও তার ছেলে রাদোয়ান মুজিব।

রাজধানীর সিটি কলেজের কেন্দ্রটি ঢাকা 10 আসনের মধ্যে। এই আসনে আওয়ামীলীগের নৌকা মার্কার প্রার্থী চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ।

বিএনপি’র ভোট বর্জন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা একটি সন্ত্রাসী দল। তারা কখনোই নির্বাচনকে বিশ্বাস করে না। তারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সামরিক স্বৈরাচারের মাধ্যমে, সেনা আইন লঙ্ঘন করে। সাধারণ মানুষের ভোট চুরি ,ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া এগুলোতে তারা বিশাসী। তারা এখন এগুলোর সুযোগ পাছায় না তাই নির্বাচন বর্জন করছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে কেউ কোন অভিযোগ করতে পারেনি সেই সময়ের নির্বাচনে বিএনপি ৩০০ সিটের মধ্যে মাত্র পেয়েছিল ৩০ টি সিট আর আওয়ামী লীগ এককভাবে পেয়েছিল ২৩৩ টি সিট।

বিরোধী দল নির্বাচন বর্জন করেছে, সেখানে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে এক বিদেশি সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাকে গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে কার কাছে?আমি কার কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমাণ দেবো? ওই সন্ত্রাসী দলের কাছে? না। আমার দায়িত্ববোধ রয়েছে আমার জনগণের কাছে আমার বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে। আর আমি সেটা করতে পেরেছি। সেটাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তারা এই ভোট গ্রহণযোগ্য বলে মনে করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি। গণতন্ত্র ছাড়া আমাদের পক্ষে উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মানুষ তাদের ভোটের অধিকার পেয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমি আশা করি সবাই আমাকে ভোট দেবে। কারণ তারা আমার সাথেই আছে। ইনশাআল্লাহ পিপল উইল ভোট ফর বোট। (ইনশাআল্লাহ জনগণ নৌকা মার্কায় ভোট দেবে)

আজ রোববার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের ২৯৯ টি আসনে ভোটগ্রহণ চলছে। নওগাঁ দুই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মারা যাওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী সেই আসনে ভোট গ্রহণ বন্ধ রেখেছে নির্বাচন কমিশন।
সারাদেশে এবার ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৩ লাখ ৩৩ হাজার ১৫৭ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৫লাখ ৯২ হাজার ১৬৯ জন আর নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৪০ হাজার ১৪০ জন এবং হিজরা ভোটারের সংখ্যা ৮৮৪ জন।

এবারের এই দ্বাদশ সংসদীয় নির্বাচনে মোট ২৮ টি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেছে। এবার মোট প্রার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৯৬৯ জন। এদের মধ্যে দলীয় প্রার্থী এক হাজার ৫৩৩ জন আর স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংখ্যা ৪৩৬ জন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৪২ হাজার ২৪ টি। আর ভোট কক্ষ আছে ২ লাখ ৬০ হাজার ৮৫৮টি।

আরো পড়ুন:- দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪

ভোট দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to top