আপনারা কি নাক. চোখ, কানে ড্রপ দিলে কি রোজা ভাঙ্গে কিনা সে সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় প্রবেশ করেছেন। আজকের এই আলোচনায় আমরা নাক, চোখ, কানে ড্রপ দিলে রোজা ভাঙ্গে কিনা সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই আমাদের আলোচনাটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। রোজা রেখে কি করা যায় আর কি করা যায় না
নাকের ড্রপ দিলে কি রোজা ভাঙ্গে
আপনারা অনেকেই নাকের ড্রপ দিলে রোজা ভাঙ্গে কিনা সে সম্পর্কে অবগত নন। অনেক সময় আপনারা এই বিষয়ে নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেন। এর আসল উত্তর হল নাকে ড্রপ দিলে রোজা ভেঙ্গে যায়। কারণ নাকে ওষুধ দিলে তা সরাসরি পাকস্থলীতে পৌঁছায়। আর রোজা অবস্থায় কোন কিছু পাকস্থলীতে গেলে রোজা ভেঙ্গে যায়।
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম নাকে পানি দেওয়ার বিষয়ে হজরত লাকিত ইবনে সাবুরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুকে বলেন, তুমি ওযু পরিপূর্ণ কর তোমার আঙ্গুলগুলো খিলাল করো এবং নাকে ভালো করে পানি দাও। তবে হ্যাঁ, রোজাদার হলে নাকে পানি দিও না।’ দলিল :- (তিরমিজি, হাদিস : ৭৭৮) রোজা রেখে চুল, দাড়ি, নখ এবং অবাঞ্ছিত লোম কাটা যাবে কিনা?
চোখে ড্রপ দিলে কি রোজা ভাঙ্গে
আপনাদের অনেকেরই প্রশ্ন থাকে চোখের ড্রপ দিলে কি রোজা ভাঙ্গে এর উত্তর হল চোখে ড্রপ দিলে রোজা ভাঙ্গে না। তবে ঔষধ যদি খাদ্যনালীতে পৌঁছে যায় তবে রোজা ভাঙবে। অনেক সময় চোখে ওষধ বা ড্রপ ব্যবহার করলে খাদ্যনালীতে পৌঁছায় না এরপরও সতর্ক থাকা উচিত।
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, ”হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম রোজা অবস্থায় চোখে সুরমা ব্যবহার করেছেন। দলিল :- তিরমিজি, হাদিস : ৭৭৮; ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৬৮৭; মাজাল্লাতু মাজমাউল ফিকহিল ইসলামী : সংখ্যা ১০; বাদায়িউস সানায়ি : ২/৯৩; আল-উম, ইমাম শাফেয়ি : ২/১১০; ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ১/২০৩; রদ্দুল মুহতার : ২/৩৯৫)”
কানে ঔষধ দিলে রোযা ভাঙ্গবে কি
অনেকেই গুগলের সার্চ করে থাকেন কানে ওষুধ দিলে কি রোজা ভাঙবে।এর আসল উত্তর হল কানে ওষুধ দিলে রোজা ভাঙবে না। কারণ কানের সাথে গলার সরাসরি কোন সংযোগ না থাকায় কানে ওষুধ দিলে সেটা গলায় পৌঁছায় না।
এ বিষয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতামত মুফতি রফি উসমানী তার বিখ্যাত গ্রন্থ, ‘মুফতিরাতুস সাওম ফি মাজালিত তাদাওয়ী’-তে তুলে ধরেছেন। এ জন্য বলা যেতে পারে, রোজা রেখে কানের ড্রপ ব্যবহার করা যাবে। দলিল :-(মুফতিরাতুস সাওম ফি মাজালিত তাদাওয়ী)