বর্তমানে আমাদের দেশে ট্রান্সজেন্ডার নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। সত্তম শ্ৰেণীৰ একটি গল্প শরীফ থেকে শরিফা এই গল্প নিয়ে দেশ জুড়ে ব্যাপক সমালোচলা শুরু হয়েছে। এই গল্পে মূলত ট্রান্সজেন্ডারদের প্রোমোট করা হয়েছে। কিন্তু আমরা অনেকে জানিনা ট্রান্সজেন্ডার কী?
তাই আজকে আমরা আলোচনা করবো ট্রান্সজেন্ডার কী?
ট্রান্সজেন্ডার কী ?
ট্রান্সজেন্ডার মানে রূপান্তরিত লিঙ্গ। সাধারণভাবে বললে একজন ছেলে বাহ্যিক ভাবে ছেলে হলেও মানসিক ভাবে নিজেকে মেয়ে মনে করে অর্থাৎ মানসিক ভাবে মেয়ে। এদের মন মানসিকতা, চালচলন, কথা বার্তা, আচার ব্যবহার মেয়েদের মতো হয়ে থাকে। এদেরকে ট্রান্সজেন্ডার বলা হয়ে থাকে।
ঠিক বিপরীতভাবে এটা মেয়েদের ক্ষেত্রেও হয়ে থাকে তার তারা বাহ্যিকভাবে মেয়ে হলেও মানসিকভাবে নিজেদের ছেলে মনে করে। অর্থাৎ তাদের এদের মন মানসিকতা, চালচলন, কথা বার্তা, আচার ব্যবহার ছেলেদের মতো হয়ে থাকে।
অর্থাৎ আচরণ, প্রত্যাশা ও বাহ্যিক প্রকাশের ওপর তার জেন্ডার নির্ধারণ করা হয় । এক্ষেত্রে জেন্ডার পরিচয় নির্ধারণ করা হয় ব্যক্তিগত ধারণার উপর অর্থাৎ তারা নিজেদেরকে নিয়ে কি ভাবে এবং তারা অন্যদের কাছে নিজেদের কিভাবে উপস্থাপন করে। অনেক ট্রান্সজেন্ডার আছেন যারা তাদের জেন্ডার পরিচয়ের সঙ্গে মিল রেখে শারীরিক পরিবর্তনও করান। তারা মূলত হরমোন পরিবর্তন, ভয়েস থেরাপি এবং অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নিজেদের শরীর পরিবর্তন করেন। মেডিক্যালের ভাষায় একে রূপান্তর বলা হয়।
এদেরকে ট্রান্সজেন্ডার বলা হয়ে থাকে।
ট্রান্সজেন্ডার দুই প্রকার হয়ে থাকে
১. ট্রান্সজেন্ডার পুরুষ।
২. ট্রান্সজেন্ডার নারী।
ট্রান্সজেন্ডার অপারেশন
ট্রান্সজেন্ডার অপারেশন হলো একটি পদ্দ্বতি যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তির শারীরিক চেহারা এবং যৌন বৈশিষ্ট্যগুলিকে তাদের চিহ্নিত লিঙ্গের সাথে অনুরূপ করে। এই ধরনের অনেক চিকিত্সা সিসজেন্ডার এবং অ-আন্তর্লিঙ্গ ব্যক্তিদের বেশি করানো হয় । একে সাধারণত সেক্স রিঅ্যাসাইনমেন্ট সার্জারি, লিঙ্গ নিশ্চিতকরণ সার্জারি বলা হয় ।
রূপান্তর করার জন্য যেসব সার্জারি করা হয়ে থাকে তার নিচে দেওয়া হল:-
পুরুষ থেকে মহিলা:
শ্বাসনালী শেভ
স্তন বৃদ্ধি
ফেসিয়াল ফেমিনাইজেশন
পুরুষ-থেকে-মহিলা যৌনাঙ্গে লিঙ্গ পুনর্নির্ধারণ
মহিলা-থেকে-পুরুষ:
হিস্টেরেক্টমি,
বুকের পুনর্গঠন
নারী-থেকে-পুরুষ যৌনাঙ্গে লিঙ্গ পুনর্নির্ধারণ
ট্রান্সজেন্ডারদের কি বাচ্চা হয় ?
একজন ট্রান্সজেন্ডার পুরুষ এবং মহিলা উভয় ক্ষেত্রেই গর্ভধারণের সম্ভাবনা রয়েছে। তাদের গর্ভধারণের জন্য কিছু অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হতে পারে। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের এই যুগে বর্তমানে ট্রান্সমারী ও ট্রান্সপুরুষ উভয় ক্ষেত্রেই গর্ভবতী হওয়ার চিকিৎসা আবিষ্কার হয়েছে যার মাধ্যমে ট্রান্সজেন্ডার বাচ্চা জন্ম দিতে পারে।
ট্রান্সজেন্ডার পুরুষরা গর্ভবতী হতে পারে এবং বাচ্চা জন্ম দিতে পারে। তারা মূলত তাদের ডিম্বাশয় এবং জরায়ু কার্যকর রাখতে পারে।
NCBI গবেষণায় দেখা যায় , 41 জন অংশগ্রহণকারী ট্রান্স ছেলের মধ্যে 61 শতাংশ গর্ভবতী হয়েছিলেন এবং গর্ভধারণের আগে তারা টেস্টোস্টেরন ব্যবহার করেছিলেন। অপরদিকে, মেডিকেয়ার ফর অস্ট্রেলিয়া দ্বারা সংগৃহীত তথ্য, যে 2017 সালে 40 জন ট্রান্স পুরুষ-শনাক্ত ব্যক্তি বাচ্চা জন্ম দিয়েছেন এবং 2016 সালে 75 জন ট্রান্স পুরুষ-শনাক্ত বাচ্চা জন্ম দিয়েছেন।
হিজড়া ও ট্রান্সজেন্ডার এর মধ্যে পার্থক্য
হিজড়া:- আমরা অনেক সময় হিজড়া এবং ট্রান্সজেন্ডার গুলিয়ে ফেলি। আমরা অনেকেই মনে করি যে হিজড়া ও ট্রান্সজেন্ডার একই। কিন্তু আসলে বিষয়টা তা নয়। হিজড়া এবং ট্রান্সজেন্ডার পুরোপুরি আলাদা।
যেসব নারী-পুরুষের জন্মের সময় তাদের লিঙ্গগত বিভিন্ন ত্রুটি থাকে তাদেরকে মূলত হিজড়া বা তৃতীয় লিঙ্গ অথবা ইংরেজিতে ইন্টার সেক্স বলা হয়।
লিঙ্গ বৈচিত্রের কারণে পৃথিবীতে মোট চার ধরনের হিজড়ার অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
১.পুরুষ:- তাদের আকুয়া বলে। এরা মেয়েদের বিয়ে করতে পারে।
২. নারী:- তাদের জেনানা বলে। তারা পুরুষের কাছে বিয়ে বসতে পারে।
৩. লিঙ্গহীন :- তাদের খুনসায়ে মুশকিলা বলে। এরা কারা সে বিষয়ে চিকিৎসক সিদ্ধান্ত দিতে পারেন।
৪. কৃত্রিমভাবে যৌন ক্ষমতা নষ্ট করে বানানো হিজড়া। তাদের খোঁজা বলে।
ট্রান্সজেন্ডার:- সাধারণভাবে বললে একজন ছেলে বাহ্যিক ভাবে ছেলে হলেও মানসিক ভাবে নিজেকে মেয়ে মনে করে অর্থাৎ মানসিক ভাবে মেয়ে। এদের মন মানসিকতা, চালচলন, কথা বার্তা, আচার ব্যবহার মেয়েদের মতো হয়ে থাকে। এদেরকে ট্রান্সজেন্ডার বলা হয়ে থাকে।
ঠিক বিপরীতভাবে এটা মেয়েদের ক্ষেত্রেও হয়ে থাকে তার তারা বাহ্যিকভাবে মেয়ে হলেও মানসিকভাবে নিজেদের ছেলে মনে করে। অর্থাৎ তাদের এদের মন মানসিকতা, চালচলন, কথা বার্তা, আচার ব্যবহার ছেলেদের মতো হয়ে থাকে।
অর্থাৎ আচরণ, প্রত্যাশা ও বাহ্যিক প্রকাশের ওপর তার জেন্ডার নির্ধারণ করা হয় । এক্ষেত্রে জেন্ডার পরিচয় নির্ধারণ করা হয় ব্যক্তিগত ধারণার উপর অর্থাৎ তারা নিজেদেরকে নিয়ে কি ভাবে এবং তারা অন্যদের কাছে নিজেদের কিভাবে উপস্থাপন করে। অনেক ট্রান্সজেন্ডার আছেন যারা তাদের জেন্ডার পরিচয়ের সঙ্গে মিল রেখে শারীরিক পরিবর্তনও করান। তারা মূলত হরমোন পরিবর্তন, ভয়েস থেরাপি এবং অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নিজেদের শরীর পরিবর্তন করেন। মেডিক্যালের ভাষায় একে রূপান্তর বলা হয়। এদেরকে ট্রান্সজেন্ডার বলা হয়ে থাকে।
ট্রান্সজেন্ডার দুই প্রকার হয়ে থাকে
১. ট্রান্সজেন্ডার পুরুষ।
২. ট্রান্সজেন্ডার নারী।
আরো পড়ুন :- আ: লীগের মতবিনিময় সভায় ব্যারিস্টার সুমনের উপস্থিতি নিয়ে হট্টগোল