আজ সিলেট এক আসন থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মাননীয় শেখ হাসিনা।তিনি জনগণের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন প্রস্তুতি শুরু করলেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন বঙ্গবন্ধু ছোট কন্যা এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানা। নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করার আগে তিনি প্রথমে সিলেটে শাহজালাল রহমাতুল্লাহি এবং শাহপরান রহমাতুল্লাহ আলাইহির মাজার জিয়ারত করেন। মাজার জিয়ারত শেষে তার নির্বাচন প্রচারণা শুরু হয়। জিয়ারত শেষে বেলা তিনটায় প্রধানমন্ত্রীও তার ছোট বোন একসাথে সমাবেশে যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়
সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করার জন্য এক বিশাল সমাবেশের আয়োজন করেন আর এই সমাবেশের প্রধান অতিথি ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনি সমাবেশের বক্তব্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ মানে স্মার্ট সরকার, স্মার্ট জনগণ, স্মার্ট ইকোনমি এবং স্মার্ট সোসাইটি। যার মাধ্যমে আমরা গড়ে তুলতে চাই আধুনিক বাংলাদেশ। যার ভিত্তি হবে টেকসই অর্থনীতি, উন্নত শিক্ষা, উন্নত সমাজ সর্বোপরি উন্নত বাংলাদেশ। যা হবে স্বচ্ছ বাংলাদেশ।
তিনি জনগণকে আহবান করে বলেন সিলেট ১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জনগণের সেবা করার সুযোগ করে দিতে। প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত সাধারণ জনগণ জনগণের উদ্দেশ্যে জিজ্ঞাস করেন, আপনারা কি নৌকা মার্কায় ভোট দিবেন?
উত্তরে সমাবেশে উপস্থিত সাধারণ মানুষ দুই হাত তুলে তাকে সম্মতি জানান। এর তারা নৌকা নৌকা বলে স্লোগান দিতে থাকেন।
বিএনপি জামায়াতকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন
বিএনপি জামাত সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে খেলে। তারা দুর্নীতিবাজ এতিমদের টাকা লুটে নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছে। তারা কখনোই সফল হতে পারবে না। তারা অগ্নিসংযোগ এবং মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার মত অনেক ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি সাধারণ মানুষকে অগ্নিসংযোগ ও মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করার জন্য দেশবাসীর কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।
তিনি তার তারেক রহমান সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন তিনি একজন কুলাঙ্গার। সে বিদেশে বসে অর্ডার দিচ্ছে আর এ দেশে কিছু মানুষ তার অর্ডার মেনে সাধারন মানুষের সাথে আগুন নিয়ে খেলছে। তাদের মনে রাখা উচিত আগুন নিয়ে খেলতে গেলে নিজেকে পুড়ে মরতে হয় তাদের এটা মনে রাখা উচিত। তারা মনে করছে আগুন নিয়ে খেলা করলে সরকার ভয় পাবে।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, বাবার মৃত্যুর পর আমি ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে এসেছি। শুধুমাত্র আমার বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে। তার বাবার স্বপ্ন ছিল মুক্তি যুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে গড়ে তোলা। এই জন্যই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছর ধরে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে দরিদ্র মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি
শেখ হাসিনা বলেন আগামী সাতই জানুয়ারি সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আসতে সাহায্য করলে, সমগ্র বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধশালী করে তুলবো। কাউকে গৃহহীন থাকতে হবে না, ভূমিহীন হবে না,বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি বাংলাদেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাবে। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে একটি উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। উল্লেখ করে তিনি বলেন এটি বাস্তবায়নের জন্য তার সরকারের প্রয়োজন।
সিলেট এ এখন ভূমিহীন, গৃহীন মানুষ নেই উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন আমি প্রতিটি গৃহীন মানুষকে বাড়ি দিতে পেরেছি, তাদের চিকিৎসার জন্য ক্লিনিক দিয়েছি, মৌলিক চাহিদা পূরণ করছি যা বাকি আছে তাও করব ইনশাল্লাহ।
শেষ কথা
সমাবেশ কে কেন্দ্র করে সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে সাধারণ জনগণ সকাল থেকেই ভিড় করে কয়েক ঘন্টার ভিতরেই পুরো মাঠ ভরে যায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ এর আয়োজনে এই সমাবেশে সমাবেশের কারণে সিলেটে যেন উৎসবের আমেজ বয়ে গেছে সবার হাতে হাতে সবাই একযোগে বাংলাদেশের পতাকা আওয়ামী লীগের ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে মাঠে উপস্থিত হন। সারা মাঠ এ নৌকা নৌকা স্লোগানে মুখোরিত করে রাখে। সিলেটের বিভিন্ন জেলার নেতাকর্মী ও সহকর্মীরাও এই সমাবেশে উপস্থিত হন। তারা মোটরবাইক, বাস, পিকাপ ইত্যাদি নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাবেশে বেলা তিনটায় যোগ দেয়ার কথা থাকলেও সাধারণ মানুষ সকাল থেকেই মাঠে ভিড় জমান। তাদের মধ্যে উৎসব উৎসব আমেজ বিরাজ করছিল। তারা বারবার নৌকা নৌকা বলে স্লোগান দিয়ে গলা ফাটাতে থাকেন। আশেপাশের জেলাগুলো থেকেও সাধারণ মানুষদের সমাবেশে যোগ দিতে দেখা যায়। উল্লেখ্য এই সমাবেশের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মাননীয় শেখ হাসিনার নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন।