আপনারা কি শবে বরাতের নামাজের নিয়ম, নিয়ত ও দোয়া ইত্যাদি জানতে আগ্রহী ? তাহলে আপনি সঠিক পোস্টে ক্লিক করেছেন। এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করবো শবে বরাতের নামাজ কত তারিখ কি বার?,নামাজের নিয়ম ও দোয়া, নামাজের নিয়ত সম্পর্কে। শবে বরাতের রোজা রাখা কি জায়েজ ? এর নিয়ত এবং ফজিলত
আশা করি আজকের আলোচনার মাধ্যমে আপনারা শবে বরাতের নামাজের নিয়ম, নিয়ত ও দোয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
শবে বরাতের নামাজ কত তারিখ কি বার ?
আগামী ২৫ শে ফেব্রুয়ারি রবিবার বাংলাদেশ সহ আসে পাশে ভারত এবং পাকিস্তানে শবে বরাত পালিত হবে। ২৫ শে ফেব্রুয়ারি সূর্যাস্তের পর থেকে শবে বরাত শুরু হবে এবং ২৬ তারিখ সূর্যোদয়ের মাধ্যমে শবে বরাত শেষ হবে। বাংলাদেশ চাঁদ দেখা কমিটি এই চাঁদ দেখার উপর নির্ভৰ করে এই সিদ্দান্ত নিয়েছেন। এই সিদ্ধান্তটি চাঁদ দেখার উপর পরিবর্তন হতে পারে।
তাই বাংলাদেশে শবে বরাতের নামাজ পড়তে হবে ২৫ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে এশার নামাজের পর।
বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ছাড়াও অন্যান দেশে ২৪ শে ফেব্রুয়ারি সূর্যাস্তের পর থেকে শবে বরাত শুরু হবে এবং ২৫ তারিখ সূর্যোদয়ের মাধ্যমে শবে বরাত শেষ হবে।
আরবি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আরবি মাসের দিন শুরু হয়। সন্ধ্যা থেকে তাই ২৫ ফেব্রুয়ারী মাগরিব থেকে শাবান মাসের দিন শুরু হয় এবং নফল নামাজ পড়া যাবে ২৬ ফেব্রুয়ারী ফজর নামাজের আগ পর্যন্ত। তাই আপনারা উক্ত সময়ের মধ্যে বেশি বেশি নফল নামাজ, জিকির ও দোয়া করবেন।
শবে বরাতের নামাজের নিয়ম ও দোয়া
সাধারণত শবে বরাতের নফল নামাজ পড়তে হয়। আর এই নফল নামাজের নিয়ম অন্যান্য নফল নামাজের মতই হয়ে থাকে। প্রথমে কোন সূরা ফাতিহার সাথে অন্য যে কোন সূরা পাঠ করে নামাজ পড়া যায়।
শবে বরাতের রাতে ফজর নামাজের আগ পর্যন্ত যেকোনো সময় নকল নামাজ আদায় করা যায় নফল নামাজের সাধারণত দুই রাকাত করে পড়তে হয়। না শবে বরাতের রাতে নফল নামাজের পাশাপাশি আল্লাহর কাছে ক্ষমা মাগফিরাত ও জান্নাতের প্রাথনা করা যায়।
শবে বরাতে দোয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহর কাছে বেশি বেশি গুনাহ মাফ ও রহমতের প্রাথনা করতে হয়। এই রাতে আল্লাহ তাআলা তার বান্দাদের ক্ষমা করার জন্য প্রথম আসমানে নেমে আসেন তাই এই রাতে ক্ষমাপ্রার্থীদের ক্ষমা করা হয় রহমত প্রার্থীদের রমা রহমত করা হয়। শবে বরাতের বিশেষ আমল এবং নামাজ ও রোজার নিয়ম ফজিলত সমূহ ২০২৪
শবে বরাতের নামাজ কত রাকাত কিভাবে পড়তে হয়
শবে বরাতের নফল নামাজের নির্দিষ্ট কোন রাকাত নেই। তবে ইচ্ছে করলে যত ইচ্ছা তত রাকাত নামাজ পড়া যায়।
শবে বরাতের নামাজ কিভাবে পড়তে হয় তা নিচে দেওয়া হল :-
নিয়ত :- নামাজ শুরু করার পূর্বে নিয়ত করে নিতে হবে শবে বরাতের নফল নামাজের পূর্বে’ ” আমি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য শবে বরাতের দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করছি ” এই বলে নিয়ত করতে হবে।
সূরা :- নফল নামাজের প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা এর পাশাপাশি অন্য যেকোনো সূরা পড়ে নফল নামাজ আদায় করতে হবে।
নামাজের পর অবশ্যই আল্লাহর কাছে রহমত ও গুনাহের গুনাহ মাফের প্রার্থনা করা যাবে।
শবে বরাতের নামাজের নিয়ত ও দোয়া
মুমিনদের জন্য শবে বরাত এর রাত অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই রাতে মহান আল্লাহ তায়ালা বান্দাদের ক্ষমা করার জন্য প্রথম আসমানে নেমে আসেন। তাই এটি মুমিনদের জন্য অনেক বড়ো সুযোগ। এই রাতে মুমিনরা বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করে।
আপনারা অনেকেই নফল নামাজের নিয়ত কিভাবে করতে হয় তা জানেন না
নিয়ত :- নামাজ শুরু করার পূর্বে নিয়ত করে নিতে হবে শবে বরাতের নফল নামাজের পূর্বে’ ” আমি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য শবে বরাতের দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করছি ” এই বলে নিয়ত করতে হবে।
শবে বরাতের নামাজের নিয়ত আরবিতে
আপনারা অনেকে শবে বরাতে নফল নামাজের আরবিতে কিভাবে নিয়ত করে সে সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। তাই আপনাদের জন্য নিচে নফল নামাজের আরবি নিয়ত দেওয়া হলো :-
নাওয়াইতুআন্ উছল্লিয়া লিল্লা-হি তাআ-লা- রাকআতাই ছালা-তি লাইলাতিল বারা-তিন্ -নাফলি, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল্ কাবাতিশ্ শারীফাতি আল্লা-হু আকবার।
শবে বরাতের নামাজের নিয়ত বাংলা উচ্চারণ
যারা নিয়ত বাংলায় গুগলে খুঁজছেন তারা এই পোস্টে বাংলা উচ্চারণ দেখে নিতে পারেন।
বাংলা উচ্চারণ:- নাওয়াইতুআন্ উছল্লিয়া লিল্লা-হি তাআ-লা- রাকআতাই ছালা-তি লাইলাতিল বারা-তিন্ -নাফলি, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল্ কাবাতিশ্ শারীফাতি আল্লা-হু আকবার।
বাংলা অর্থ :- ” আমি কেবলামুখী হইয়া আল্লাহর উদ্দেশ্যে শবে বরাতের দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করছি ”
শবে বরাতের নামাজ কোন সূরা দিয়ে পড়তে হয়
শবে বরাতের নামাজ নিদিষ্ট কোনো সূরা নেই। আপনারা যে কোনো সূরা দিয়ে শবে বরাতের নামাজ পড়তে পারেন। নফল নামাজের প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা এর পাশাপাশি অন্য যেকোনো সূরা পড়ে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করতে হবে।
শবে বরাতের নামাজের ফজিলত
এই রাতে মহান আল্লাহ তায়ালা বান্দাদের ক্ষমা করার জন্য প্রথম আসমানে নেমে আসেন। এ রাতে আল্লাহ ক্ষমা প্রাথীকে ক্ষমা করেন, রহমত প্রাথীকে রহমত করেন। এই রাতে গুনাগার বান্দাদের জান্নাত দান করেন। কিন্তু মনের মধ্যে বিদ্দেষ রাখেন এমন বান্দাকে আল্লাহ মাফ করেন না।