ভোট বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের আহ্বান বিএনপির
আজ হঠাৎ করে ৭ই জানুয়ারী ভোট বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের আহ্বান বিএনপির । আজ বেলা ১২ টায় বিএনপি’র দলটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি সরকারকে সকল ক্ষেত্রে অসহযোগিতা করার জন্য জনগণকে অনুরোধ করেন। আজ ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই আহ্বান জানান। তো সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান
বিএনপির পক্ষ থেকে রুহুল কোভিদ রিজভী অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি জানান। তিনি এর যুক্তিতে বলেন, নির্বাচনের নামে বানর খেলায় নামবেন না। নির্বাচন বর্জন করুন। কারা এমপি হবে এই লিস্ট আগেই হয়ে গেছে।তিনি জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন সরকারকে কর, খাজনা, পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎ বিল দেওয়া থেকে বিরত থাকুন ব্যাংক হাতের মাধ্যমে সরকার সবচেয়ে বেশি টাকা লুটপাট করছে ফলে ব্যাংকে টাকা জমা রাখা নিরাপদ নয়
অসহযোগ আন্দোলনে জনমত তৈরি
বিএনপির ঘোষিত অসহযোগ আন্দোলনের জনমত তৈরি করতে আজ বিএনপি‘র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কোভিদ রিজভী এলিফ্যান্ট ও বেইলি রোডের বিভিন্ন এলাকায় লিফলেট বিতরণের আহ্বান জানান। আজ থেকে এই কর্মসূচি পালিত হবে বলে এক বিবৃতিতে জানানো হয়। তিনি বলেন এই সাধারণ নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনকে সফল করার জন্য যা যা আমাদের করা দরকার। আমরা তাই চেষ্টা করব। তিনি আরো বলেন এটা গ্রহণযোগ্য হবে না। এটা কোন প্রকারের নির্বাচন হতে পারে না। তারা চিরকাল ক্ষমতায় টিকে থাকার ফন্দী আর্টসে। তারা মীর জাফরে পরিণত হোসে। তিনি দেশবাসীর কাছে অনুরোধ করেসেন কর, খাজনা, পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎ বিল দেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলেছেন
লিফলেট বিতরণের সময় রুহুল কবিরের সাথে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা তারা হলেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম সাবেক ছাত্রদল নেতা মাহবুব কেন্দ্রীয় ছাত্রের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান আউয়াল অসাধারণ সম্পাদক আজিজুল হকএর মতো বিএনপির বড় বড় নেতারা
আবার অবরোধের ঘোষণা বিএনপির
এদিকে ২৪ ডিসেম্বর থেকে আবারো সকাল সন্ধ্যা অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কোভিদ। তিনি আরো বলেন ২১,২২,২৩ এই তিন দিন অসহযোগ আন্দোলনের জন্য লিফলেট বিতরণ করে গণসংযোগ করা হবে এবং ২৪ তারিখ থেকে আবার সকাল সন্ধ্যা অবরোধ পালন করা হবে।সরকারের সমালোচনা করে আলী হামিদ বলেন, বর্তমান নির্বাচনে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে এটা শুধু এককভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর সমস্যা নয় সমগ্র দেশ ও জাতির সমস্যা সুতরাং সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে সমালোচনা মোকাবেলা করতে হবে অন্যথায় সমাজকে গৃহযুদ্ধ রক্তপাতের দিকে ঠেলে দেবে।এই পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে সাধারণ মানুষ ভোটাধিকার হারাবে এতে দেশ ও জনগণের জন্য বিপদ ডেকে আনবে
২৮ অক্টোবর গত ২৮ শে অক্টোবর বিএনপি’র সমাবেশ বন্ধ করে দেওয়ায় পরদিন ২৯ অক্টোবর বিএনপি সকাল সন্ধ্যা হরতাল পালন করে এর পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম সহ শীর্ষ পর্যায়ের শতাধিক নেতা কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয় এরপর থেকেই নির্দলীয় সরকারের নির্বাচন ও দলের নেতা কর্মীদের মুক্তি, হয়রানি বন্ধ ও সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিএনপি হরতাল অবরোধ কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছে।
ভালো কাজ করেছে