লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের হাড়িপাড়া সীমান্তে ভারতীয় খুনি বাহিনী বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা করছে। আজ বুধবার দুপুরের দিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) বাধায় কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হয় বিএসএফ। আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন অনুযায়ী শূন্যরেখা থেকে দেড় শ গজের মধ্যে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যায় না। বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ হাড়িপাড়া সীমান্তের প্রধান পিলার (ডিএএমপি) ৮ নম্বরের সাবপিলার ২৩ থেকে ২৮ নম্বরের শূন্যরেখায় বিএসএফের তত্ত্বাবধানে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ভারতীয় শ্রমিকেরা। বিষয়টি নজরে এলে বিজিবি বাধা দেয়। এতে কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয় বিএসএফ। পরে বিএসএফের সদস্যরা ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সীমান্তে অবস্থান নেন।
এ বিষয়ে রংপুর ৫১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সেলিম আল দীন সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিএসএফ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কাজ করছিল। আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বাধা দিয়েছি। বর্তমানে কাজ বন্ধ আছে। দহগ্রাম ইউনিয়নবাসীর নিরাপত্তা ও জানমাল রক্ষায় বিজিবি তৎপর আছে। সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে।
বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ সীমান্ত এলাকায় নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করেছে। যদিও এর মূল উদ্দেশ্য সুরক্ষা বাড়ানো, তবে এর সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রভাব নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আরো সুদূরপ্রসারী আলোচনা প্রয়োজন। সীমান্তের শান্তি এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে, দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক আরো মজবুত হওয়া উচিত।
বিএসএফ কেন কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করতে চাচ্ছে?
বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের মাধ্যমে সীমান্ত সুরক্ষাকে আরও মজবুত করতে চাচ্ছে এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান প্রতিরোধ করতে চায়।
বিজিবি এই উদ্যোগ সম্পর্কে কী বলেছে?
বিজিবি এই উদ্যোগে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে ভারতের সাথে কূটনৈতিক আলোচনার ওপর জোর দিয়েছে।
কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ কি দুই দেশের সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলবে?
হ্যাঁ, কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্কে প্রভাব ফেলতে পারে এবং সীমান্তে উত্তেজনার সৃষ্টি করতে পারে।