রবিবার নড়াইল-২ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের পদপ্রার্থী বর্তমান আওয়ামী লীগের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও বাংলাদেশ ্রিকেট দলের সাবেক ক্যাপ্টেন ও বর্তমান সংসদ সদস্য নির্বাচনী প্রচারণায় মাশরাফিকে ফুলের অভ্যর্থনা জানিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
গত ১৮ ই ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পর এই প্রথম তিনি জনসম্মুখে নির্বাচনী প্রচারণায় নামেন।গত ১৮ ই ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পর এই প্রথম তিনি জনসম্মুখে নির্বাচনী প্রচারণায় নামেন। ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হলেও তিনি হাঁটুর ইনজুরির কারণে এতদিন প্রচারণায় নামতে পারেননি তার অনুপস্থিতিতে তার দলের নেতাকর্মীরা এতদিন তার হয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছিলেন
মাশরাফিকে ফুলের অভ্যর্থনা
এইদিন গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সমাধিস্থলে স্থল থেকে গাড়িতে করে তিনি লোহাগড়ার মধুমতি নদীর কলানা সেতুতে আসলে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। দ্বিতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ায় তিনি এই প্রথম তার নির্বাচনী এলাকায় আসেন।
এদিকে মাশরাফি বিন মুর্তজা গোপালগঞ্জের টুংগীপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কবর জিয়ারতের পর নড়াইলের উদ্দেশ্যে রওনা হন। তিনি গোপালগঞ্জ থেকে গাড়িতে করে লোহাগড়ার মধুমতি নদীর কলানা সেতুতে বিকাল চারটায় উপস্থিত হন।
এর আগে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ও সাধারণ জনগণ তাকে অভ্যর্থনা দেওয়ার জন্য সকাল থেকেই কলনা সেতুতে ভিড় করে। হাজার হাজার সাধারণ মানুষ লোহাগড়ার মধুমতি নদীর কলানা সেতুতে ভিড় করায় কয়েক ঘন্টার জন্য রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়।
আরো পড়ুন:- মাশরাফির নির্বাচন প্রচারণা
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মাশরাফি
মাশরাফি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন আমাকে প্রথম নৌকা প্রতীক দেন। তখন আমি করণা ঘাট সেতু পারাপার করে আমার নির্বাচনী এলাকায় এসেছিলাম। আজ এখানে সেতু হয়েছে। এবার আমি সেতু পার হয়ে আমার নির্বাচনী এলাকায় প্রবেশ করেছি। সবকিছুই আপনাদের দোয়ায় সম্ভব হয়েছে।
আপনারাই জানেন আমি আপনাদের জন্য কতটুকু কাজ করেছি। আপনারা অবশ্যই নৌকা প্রতীকে ভোট দিবেন। আমি আশা করি আপনারা নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে আবার আপনাদের সেবা করার সুযোগ করে দিবেন। আপনারা অবশ্যই ৭ই জানুয়ারি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে অবশ্যই নৌকা মার্কায় ভোট দিবেন।
মাশরাফি আরো বলেন আমি আপনাদেরই সন্তান। গত নির্বাচনে আপনারা আমাকে ভালোবেসে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছিলেন। আমি আপনাদের জন্য রাত দিন কাজ করে গেছি। এলাকার উন্নয়নে আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। এবারও যদি আপনারা আমাকে ভালোবেসে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন, আপনাদের জন্য আমি আরো কিছু করতে চাই। স্মার্ট বাংলাদেশ করতে হলে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে হবে। আশা করি আপনারা সবাই মিলে নৌকা মার্কায় ভোট দিবেন।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাশরাফি আওয়ামী লীগ থেকে নড়াইল ২ আসনে প্রথম মনোনয়ন পান। ওই নির্বাচনে তিনি বিপুল সংখ্যক ভোটে নড়াইল ২ আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। নির্বাচনের এই পাঁচ বছর তিনি জনগণের জন্য কাজ করে গেছেন। কখনো হাসপাতালে বা কখনো রাস্তার বিভিন্ন উন্নয়নে নিজ পায়ে গিয়ে কাজের তদারকি করতেন। তিনি তার মেয়াদকালে এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নে কাজ করে গেছেন। ২০১৮ সালের পর তিনি এবারও আওয়ামী লীগ থেকে নড়াইল ২ আসনে দ্বিতীয় বারের মতো আওয়ামী লীগ এর পক্ষে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পান।
নির্বাচনী প্রচারণায় মাশরাফির সাথে উপস্থিত নেতাকর্মী
মাশরাফি সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন লোহাগড়া উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব সিকদার আব্দুল হান্নান রুনু, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব মঞ্জুরুল করিম মুন, লোহাগড়া আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব আলাউদ্দিন মুন্সি,লোহাগড়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব সৈয়দ মসিয়ূর রহমান,লোহাগড়া আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জনাব ফয়জুল হক রোম,
লোহাগড়া আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জনাব সাজ্জাদ হোসেন মুন্না,নড়াইল আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ, লোহাগড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র জনাব আশরাফুল আলম,
জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব জাহাঙ্গীর আলম, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জনাব মাহমুদুল হাসান কয়েস, লক্ষীপাশা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জনাব কাজী বশিরুল হক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জনাব তরিকুল ইসলাম খান ,
নড়াইল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব এস এম পলাশ, লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান জনাব ফারহানা ইয়াসমিন ইতি, জেলা মহিলা লীগের সভাপতি জনাব সঞ্চিতা হক রিক্তা,জেলা মহিলা লীগের সহসভাপতি জনাব রোজিয়া সুলতানা চামেলী,জেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব লেবিয়া বেগমসহ আরো অনেকে।
নড়াইল-২ আসনে মাশরাফির নৌকা প্রতীকের সঙ্গে আরো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ওয়ার্কার্স পার্টির শেখ হাফিজুর রহমান হাতুড়ি মার্কায় , ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. মনিরুল ইসলাম আম মার্কায় , জাতীয় পার্টির খন্দকার ফায়েকুজ্জামান লাঙল মার্কায় , গণফ্রন্টের মো. লতিফুর রহমান মাছ মার্কায় এবং ইসলামী ঐক্যজোটের মো. মাহবুবুর রহমান মিনার মার্কায় ।